বেঙ্গল লিংকস | আব্দুল্লা হাদি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম
বেঙ্গল লিংকস | আব্দুল্লা হাদি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম
রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ অভিযানের পর থেকে কংগ্রেস ফের শিরোনামে এসেছে। রাহুল পায়ে হেঁটে মানুষের সাথে র্যালি করছেন, কংগ্রেসের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সভাপতি আসনে কে বসবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। মনোনীতদের তালিকার প্রথমেই রয়েছে কেরালা রাজ্যের সাংসদ শশী থারুর। অন্যদিকে রয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এছাড়া, কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী মধ্যপ্রদেশের প্রবীণ নেতা কমলনাথের সাথেও যোগাযোগ করেছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে কে পাবে সভাপতির পদ এবং কে কতটা যোগ্য?
প্রথমেই শুরু করা যাক শশী থারুরকে দিয়ে। তিনি একজন খুবই জনপ্রিয় নেতা, স্পষ্ট বক্তা এবং তার ইংরেজি উচ্চারণের ভক্ত আমরা সকলেই। শহুরে বা আর্বাম জনতার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনি। তারকা থেকে শুরু করে স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান, সব মহলেই তার ওঠা বসা রয়েছে। তিনি সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে চলতে জানেন। তবে কংগ্রেসের জন্য সভাপতি হিসেবে তিনি কতটা কাজ করতে পারবেন। ভারতে রাজনীতিতে মসনদে বসতে হলে গ্রামীণ, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের সাথে যুক্ত হওয়া খুব প্রয়োজন। সেই দিক থেকে বিচার করলে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই শশী থারুরের নামও হয়ত জানেন না। শশী নিজেই বেশ বনেদি পরিবারের ছেলে, তার পক্ষে এই পদে এসে সফল তার পরিশ্রম এবং নমনীয়তার উপর নির্ভর করবে। তবে এই সাংসদ সব যায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন, হয়ত সভাপতি হয়ে তিনি আবার নতুন কোনও ভূমিকায় দেখা দেবেন।
অশোক গেহলেট হলেন কংগ্রেসের একজন হেভিওয়েট নেতা। তিনি বর্তমানে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন, তা সত্ত্বেও তিনি সভাপতি পদের জন্য লড়তে চান। কংগ্রেস সমর্থকদের মতে এই ক্ষেত্রে সচিন পাইলটকে সুযোগ দেওয়া উচিত কারণ তার দক্ষতা রয়েছে এবং তিনি কেন্দ্রীয় দায়িত্ব সামলাতে পারবেন। সম্প্রতি, খবরে জানা যায় সচিন পাইলট বলেছেন গেহলট সভাপতির পদে লড়তে চাইলে তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে। যদিও, পাইলট এটিকে ফেক নিউজ বলে দাবি করেন। এই বিষয়টি ভুয়ো হলে গেহলট আর পাইলটের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। সভাপতি পদের দিক থেকে বিচার করলে, অশোক গেহলট এই পদ পেলে কংগ্রেসের তেমন কোনও লাভ নাও হতে পারে। একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে দুটি গুরু দায়িত্ব সামলানো সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদিও, গেহলট একেবারেই একজন ‘দেশি’ মানুষ। তিনি মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের ভাষা বোঝেন এবং সহজেই তাদের একজন হয়ে যেতে পারেন।
আপাতত জানা গিয়েছে, এই পদের জন্য মোট দুটি মনোনয়ন জমা পড়বে এবং ভোটের মাধ্যমে স্বচ্ছ লড়াইয়ে সভাপতি বেছে নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :