বেঙ্গল লিংকস | সোনালী ঘোষ
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ০৩:২৮ পিএম
বেঙ্গল লিংকস | সোনালী ঘোষ
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ০৩:২৮ পিএম
যতদিন যাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ফলে খরচাও তত বাড়ছে । মাসের শেষ এলেই চাকরিজীবীদের মনে আশার আলো জাগে। মুখের হাসি চওড়া হয় ঠিকই কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
কারণ যার আয় যত , তার ব্যায় তত। বেতন হাতে আসার পর নিমেষেই খরচ হয়ে যায় সব। আয় বাড়লেও দিনের শেষে দেখা যায় পকেট সেই খালিই আছে। সঞ্চয় করা হয়ে উঠে না বললেই চলে। কম বেশি সকলেরই এমন অভিজ্ঞতা আছে। তবে ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয়ও জরুরি। তবে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে মোটা অঙ্কের টাকা সঞ্চয়ের কিছু সহজ এবং বাস্তবসম্মত কৌশল রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাসের শেষে কীভাবে সামান্য হলেও অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব।
১. প্রথমেই সঞ্চয় শুরুর সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ হল, কোথায় কত খরচ হচ্ছে তা হিসেব করে খুঁটিনাটি সমস্তটাই লিখে রাখা।
২. বাজেট সঞ্চয় করতে লিখে রাখা হিসেবে আয় সাপেক্ষে ব্যয়ের পরিকল্পনার ছকে ফেলুন যাতে অতিরিক্ত খরচে লাগাম পরানো যায়। তাতে করে বাজেট সঞ্চয়ে কোনও অসুবিধে হবে না।
৩. বাজেট সঞ্চয় করতে কোথাও অপ্রয়োজনীয় খরচ বেশি হলে সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। কারণ অর্থ সঞ্চয় করতে হলে অতিরিক্ত খরচ কাটছাঁট করতে হবে।
৪. অর্থ সঞ্চয়ের সেরা উপায়গুলোর মধ্য একটি হল, লক্ষ্য নির্ধারণ করা। যাতে করে কীসের জন্য, কত টাকা প্রয়োজন এবং সেই টাকা সঞ্চয় করতে কতদিন সময় লাগবে তা ঠিক করতে হবে।
৫. কী জন্য অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে তা ঠিক করতে পারলেই লক্ষ্যে পৌছনোটা আরও একটু সহজ হয়ে যায়। তবে এজন্য কোন পদক্ষেপ গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন সেটা আগে বুঝতে হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ভুলে গেলে চলবে না। যেমন অবসর গ্রহণের পরিকল্পনায় টাকা জমানো। কোনটা কতটা অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকাটা জরুরি।
৬. আজকাল স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থ সঞ্চয় বা বিনিয়োগের জন্য বাজারে অনেক সংস্থা আছে। সবগুলোতেই ফি, সুদের হার, ঝুঁকি খুটিয়ে দেখা প্রয়োজন। যাতে এর মধ্যে থেকে যেখানে লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে ভালো সাহায্য করবে সেখানেই সঞ্চয় করে রাখা উচিত। এর জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিদের থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতেই পারে।
৭. প্রায়ই সব ব্যাঙ্কই চেকিং এবং সেভিংস অ্যাকাউন্টের মধ্যে স্থানান্তরের অফার থাকে । কখন, কত এবং কোথায় অর্থ স্থানান্তর করবে, সেটা সঞ্চয়কারীকেই ঠিক করতে হবে। যাতে করে প্রতিটি পে-চেকের একটি করে অংশ সরাসরি সেভিংস অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
৮. সঞ্চয়ে নজরদারি করতে হবে যেমন প্রতি মাসে কত টাকা সেভিংস হচ্ছে সেইদিকে নজর রাখতে হবে। তার সঙ্গে বাজেট পর্যালোচনাও করতে হবে। যাতে দ্রুত সমস্যাগুলো সনাক্ত করা যায়। ফলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া খুব সহজও হবে। তাছাড়া এই নিয়ম গুলি দ্রুত অর্থ সঞ্চয়ে অনুপ্রাণিতও করবে।
আপনার মতামত লিখুন :